November 22, 2024, 6:07 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা: ড. ইউনুস আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস, নানা আয়োজন ডাকাতি করতে এসে মা-ছেলেকে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদন্ড র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী কারাগারে শহরে বিশ^বিদ্যালয়ের বাসে চাপা পড়ে সাইকেল আরোহীর মৃত্যু দেশে আসছে আরো ১৯ কোটি ডিম, ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানা থেকে লুট হওয়া শটগান কুষ্টিয়ায় উদ্ধার ঝিনাইদহে ৫৮ বিজিবির ৬ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণবিস্কুট উদ্ধার, আটক ২ আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে ড. ইউনুস/বিএনপি বলেছে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দুই বছর পর বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি, সময় স্বল্পতার অনুযোগ আমদানিকারকদের

ধর্মালোচনা/হিন্দু ধর্মের গোড়ার কথা

একটি দৈনিক কুষ্টিয়া বিশেষ প্রতিবেদন/
ধর্ম সভ্যতায় অনেকগুলো ধর্ম বিভিন্ন যুগে প্রবর্তিত হয়েছে। সমাজ বিকাশের বিভিন্ন ধারায় এগুলো অবদান রেখেছে। এগুলোর অন্যতম হলো হিন্দু ধর্ম । এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধম। এটি একটি যুগ ধর্ম। তবে এই হিন্দু নামটি কিন্তু এই যুগের। প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। এটিকে বৈদিক ধর্মনামেও ডাকা হয়। এ ধর্মতত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। ঈসা পূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে হাপ্পান যুগ ছিল এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। আর্য নৃ-গোষ্ঠির মধ্য দিয়ে এটি গড়ে ওঠে। আবার ইতিহাস বিশ্লে­ষকদের মতে আর্য (বা ) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়।

কার্য থেকে আর্য । এরকম জাতিয় সাধারন প্রবনতা ইতিহাসেরই সুত্র। এ জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিলঃ ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্থানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ব করেন।বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে। এই কারনে তখনকার সভ্যতাকে বলা হয় বৈদিক সভ্যতা।
এই বৈদিক সভ্যতায় অর্থাৎ ঐ আমলে কোন মূর্তি পূজা করা হত না। সেই সময় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুন, অগ্নি এবং সোম। তারা যজ্ঞের মাধ্যমে পূজিত হত। তখনকার ঈশ্বরআরাধনা হত যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মাধ্যমে। সকল কাজের আগে যজ্ঞ করা ছিল বাঞ্ছনীয়। সে আমলে কোন মূর্তি বা মন্দির ছিল না। ধারনা করা হয়ে থাকে যে খ্রীস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০ অব্দের মধ্যে রামায়ণ এবং মহাভারত শ্রুতিবদ্ধ হয়। বর্তমানে এই সমস্ত মহান ধর্ম গ্রন্থগুলোর লিখিত রূপ হয়েছে। এই রামায়ণ এবং মহাভারতে লিপিবদ্ধ আছে ধর্ম এবং যুদ্ধের কাহিনী। এছারাও পুরাণনামে যে ধর্মগ্রন্থগুলো রয়েছে তাতে দেবতাদের এবং অসুরদের যুদ্ধ নিয়ে ঘটনা আছে।

যুগকরণ
জেমস মিল (১৭৭৩-১৮৩৬),তাঁর দ্য হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (১৮১৭) গ্রন্থে, ভারতের ইতিহাসের তিনটি পর্যায়ক্রম করেছেন, যেমন হিন্দু, মুসলিম ও ব্রিটিশ সভ্যতা। আরেকটি যুগকরণ হল “প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়ের” মধ্যে বিভাগ। স্মার্ট এবং মাইকেলস মনে হয় মিল-এর যুগকরণ অনুসরণ করেছেন, যেখানে ফ্লাড এবং মুয়েস “প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়সীমার” অনুসরণ করেছেন।
বিভিন্ন যুগকে “ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম” হিসেবে মনোনীত করা হয়:
স্মার্ট ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের সময়কে “প্রাকধ্রুপদ” বলেন। এটা উপনিষদ্ এবং ব্রহ্মতত্ত্ব, জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম-এর জন্য গঠনমূলক সময়। স্মার্ট-এর মতে, “ধ্রুপদী যুগ” ১০০ থেকে ১০০০ খ্রীষ্টাব্দ স্থায়ী হয়, এবং ভারতের “ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম” প্রস্ফুটিত হওয়া এবং মহাযান-বৌদ্ধধর্ম-এর বিকাশ ও ক্ষয় সমানুপাতিক
মাইকেলস-এর মতে, ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যের কাল একটি “তপস্বী সংস্কারবাদ” যুগ, যেখানে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের যুগ “ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম”-এর সময়, যেহেতু “বৈদিকধর্ম এবং হিন্দুধর্মের মধ্যে একটি সন্ধিক্ষণ” আছে।
মুয়েস এক দীর্ঘ যুগ পরিবর্তনের পার্থক্য করেন, যেমন ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ, যা তিনি “ধ্রুপদী যুগ” বলেন। মুয়েস-এর মত অনুযায়ী, হিন্দুধর্মের কিছু মৌলিক ধারণা, যেমন কর্মবাদ, পুনর্জন্মবাদ ও “আত্মউদ্বোধন এবং রূপান্তর”, বৈদিকধর্মে যা বিদ্যমান ছিল না, এই সময় বিকশিত হয়।

স্মার্ট মাইকেলস
(আনুপূর্বিক) মাইকেলস
(বিস্তারিত) মুয়েস ফ্লাড
সিন্ধু সভ্যতা এবং বৈদিক যুগ
(৩০০০ – ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) প্রাকবৈদিক ধর্ম
(১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) প্রাকবৈদিক ধর্ম
(১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) সিন্ধু সভ্যতা
(৩৩০০ – ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) সিন্ধু সভ্যতা
(২৫০০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
বৈদিকধর্ম
(১৭৫০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) প্রারম্ভিক বৈদিক যুগ
(১৭৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বৈদিক যুগ
(১৬০০ – ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বৈদিক যুগ
(১৫০০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
মধ্য বৈদিক যুগ
(১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে)
প্রাকধ্রুপদী যুগ
(১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০০ খ্রিষ্টাব্দ) অন্তিম বৈদিক যুগ
(৮৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে) ধ্রুপদী যুগ
(৮০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
তপস্বী সংস্কারবাদ
(৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) তপস্বী সংস্কারবাদ
(৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ
(৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১১০০ খ্রিষ্টাব্দ) প্রাকধ্রুপদী হিন্দুধর্ম
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদী যুগ
(১০০ – ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ) “স্বর্ণযুগ” (গুপ্ত সাম্রাজ্য)
(৩২০ – ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদোত্তর হিন্দুধর্ম
(৬৫০–১১০০ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ
(৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ
(৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
হিন্দু মুসলমান সভ্যতা
(১০০০ – ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ) মুসলমান শাসন এবং “হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ”
(১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ) মুসলমান শাসন এবং “হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ”
(১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
আধুনিক যুগ
(১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল) আধুনিক যুগ
(১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল)
আধুনিক যুগ
(১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ – বর্তমানকাল) আধুনিক হিন্দুধর্ম
(১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে) আধুনিক হিন্দুধর্ম
(১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)
প্রাকবৈদিক ধর্ম (১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)
বৈদিক যুগ (১৭৫০-৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)

“দ্বিতীয় নগরায়ণ” (৫০০-২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)

ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-১১০০ খ্রীষ্টাব্দ)
“স্বর্ণযুগ” (গুপ্ত সাম্রাজ্য) (৩২০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ)প্রাকধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-৩০০ খ্রীষ্টাব্দ)

ধ্রুপদোত্তর হিন্দুধর্ম – পৌরাণিক হিন্দুধর্ম (৬৫০-১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)
মুসলমান শাসন ও হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ (১১০০-১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
আধুনিক হিন্দুধর্ম (১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)
=====///http://sonatonshastro.blogspot.com/2017/03/blog-post_24.html///

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

MonTueWedThuFriSatSun
    123
18192021222324
252627282930 
       
      1
30      
1234567
891011121314
15161718192021
293031    
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
   1234
26272829   
       
293031    
       
    123
25262728293031
       
  12345
27282930   
       
      1
9101112131415
3031     
    123
45678910
11121314151617
252627282930 
       
 123456
78910111213
28293031   
       
     12
3456789
24252627282930
31      
   1234
567891011
19202122232425
2627282930  
       
293031    
       
  12345
6789101112
       
  12345
2728     
       
      1
3031     
   1234
19202122232425
       
293031    
       
    123
45678910
       
  12345
27282930   
       
14151617181920
28      
       
       
       
    123
       
     12
31      
      1
2345678
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net